
স্বচ্ছ ধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করতে হবে: মাসুক উদ্দিন আহমদ

প্রতিদিন ডেস্ক
প্রকাশ ২০২২-০৯-১৬ ১১:৩৮:৩৮

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেছেন, মহানগর আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সম্মেলনের ধারাবাহিকতায় ১২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি ও সাধারণ সম্পাদক মিলে ওয়ার্ডকে সুসংগঠিত করার জন্য দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তরুণদের মধ্য থেকেই নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করা হবে এবং তা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন ৫১ বছর পূর্বে পাকিস্তানের কাছ থেকে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু আজ আমরা পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে আজ সমাদৃত। ত্রিশ হাজার কোটি টাকা খরচ করে পদ্মা সেতু নির্নাণ করা হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে আমরা দেখেছি একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি। যা শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বের ফসল। তবে স্বাধীনতা বিরোধীদের কাছ থেকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা দেখেছি মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা বিরোধীরা আমাদের মধ্য থেকেই ছিল। আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। তারা বিভিন্নভাবে দলে অনুপ্রবেশ করছে। দেখা যায়, তিনি ভাই তিন দল করে। তাদের বিষয়ে সর্তক থাকতে হবে। ধান্দার রাজনীতি করলে হবে না, স্বচ্ছতার রাজনীতি করতে হবে। স্বচ্ছতার রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
তিনি বলেন আমরা নেতা নই, আমরা আপনাদের ভাই। স্বচ্ছতার সহিত রাজনীতি করে এগিয়ে যেতে হবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করার কেউ নই। আমাদেরকে সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। সহযোগিতা করার মাধ্যমেই দল ও সরকারকে এগিয়ে নিতে হবে। ভাই ভাই হয়ে আমরা এগিয়ে যাবো। তিনি বলেন, বিএনপি আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তাদেরকে রুখে দিতে হবে। তিনি সিটি কর্পোরেশনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, সিটি কর্পোরেশনকে উন্নয়নের জন্য প্রচুর টাকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একটু বৃষ্টিতেই রাস্তা ঘাট সবকিছু ডুবে যায়। ধান্দা করে টাকা পয়সা লুটিয়ে নিচ্ছে। আগামীতে তাদের সঠিক জবাব দিতে হবে। ওয়ার্ডকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ১২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শেখঘাট আজাদ সেন্টারে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে উদ্বোধক ও প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
১২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রোকন আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মানিক মিয়ার পরিচালনায় সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য প্রদান করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন।
তিনি বলেন, গত ৩০ জুলাই মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১লা সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাংগঠনিক পক্ষ ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন হচ্ছে। আজকে সাংগঠনিক পক্ষ পালনের শেষ দিন। আমি রাজনৈতিক বিষয়ে বক্তব্য রাখবো না। ইতিমধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিস্তারিত বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বলেন, আমি শুধু সাংগঠনিক বিষয়ে কিছু কথা বলবো।
তিনি বলেন, সভাপতি ও আমার কাছে একটা বিষয় পরিষ্কার আমরা কোনো পকেট কমিটি করবো না। কোনো হাইব্রিডকে দলের নেতৃত্বে আনা হবে না। কোনো ভাই লীগকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। যারা যোগ্য ও ত্যাগী এবং দলের জন্য নিবেদিত তাদেরকে দিয়েই নতুন কমিটি গঠন করা হবে। ইতিমধ্যে অন্যান্য ওয়ার্ডেও যোগ্য ও ত্যাগী নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ওয়ার্ডকে সুসংগঠিত করার মাধ্যমেই আমরা এগিয়ে যাবো এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার টেকসই উন্নয়নের সমৃদ্ধ দেশ গড়বো,ইনশাআল্লাহ। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতা-কর্মীদের উপস্থিত হওয়ার জন্য মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির উদ্দীন খান।
তিনি বলেন, ওয়ার্ড সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বিচার-বিবেচনা করে যোগ্য লোককে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচন করবে। তা মেনে নিয়ে আপনাদেরকে ওয়ার্ড সুসংগঠিত করতে হবে। মনে রাখতে হবে, নেতৃত্ব না মানলে দলে সুশৃঙ্খলা তৈরি হয় না। তিনি বলেন, আগামীতে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে মেয়র হিসেবে দলীয় লোককে নির্বাচন করতে হবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের মধ্য থেকেই আগামীর মেয়র নির্বাচন করবো, ইনশাআল্লাহ। সেজন্য এখন থেকেই পরিক্ষিত ও ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়নের মাধ্যমে দলকে এগিয়ে নিতে হবে। তিনি, জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সর্মথিত হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
এছাড়াও বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম পুতুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মাহফুজুর রহমান, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক সেলিম আহমদ সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মজির উদ্দিন, মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দ কামাল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, বিজিত চৌধুরী, এডভোকেট প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আজহার উদ্দিন জাহাঙ্গীর, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল হক মঞ্জু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ, কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুল আজিম জুনেল, সুদীপ দে, রোকসানা পারভীন, মহসিন চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান সুহেদ, শিপা বেগম শুপা, এডভোকেট তারাননুম চৌধুরী, রকিবুল ইসলাম ঝলক, জুমাদিন আহমদ, ইলিয়াস আহমদ জুয়েল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আফসার আজিজ,
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ মুফতি আব্দুল খাবির, আব্দুর রব হাজারি, সালাউদ্দিন বক্স সালাই, সৈয়দ আনোয়ারুস সাদাত, সোয়েব বাসিত, এম.এ খান শাহীন, মাহবুব খান মাসুম, শেখ সোহেল আহমদ কবির, জাবেদ আহমদসহ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদকের পরিচালনায় আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাউন্সিলরবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে ওয়ার্ডের সভাপতি হিসাবে রোকন আহমদ এবং সাধারণ সম্পাদক হিসাবে মানিক মিয়া নির্বাচিত হয়। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন কুরআন থেকে তেলওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতৃবৃন্দের জন্য দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
সিলেট প্রতিদিন/ ইকে

বিজ্ঞাপন স্থান
পুরাতন সংবাদ খুঁজেন
বিজ্ঞাপন স্থান
ফেসবুক মন্তব্য