১২৮ রানে ৫ উইকেট নেই বাংলাদেশের। টালমাটাল টাইগার বাহিনীর হাল ধরেন লিটন দাস। চার-ছক্কার ফুলঝুড়িতে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এই ডানহাতি, দাপুটে ব্যাটিংয়ে ছুঁয়ে ফেলেন শতকের কোঠা। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে একটি কীর্তি গড়েন লিটন।
পঞ্চম দ্রুততম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে জায়গা করে নেন বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে। ২০১৫ সালে টেস্ট অভিষেক হয় লিটনের। প্রথম শতকের দেখা পেতে অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০২১ সাল পর্যন্ত। গত সিরিজে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরির আক্ষেপ ঘোচান ইতিমধ্যেই ১১টি ফিফটির মালিক লিটন। মাত্র দেড় মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেলেন তিনি। ক্রাইস্টচার্চে বাংলাদেশের ভরাডুবির দিন প্রতিরোধ গড়ে ১০৬ বলে সেঞ্চুরি হাঁকান লিটন।
দুর্দান্ত ইনিংসটি ১৪ চার ও ১ ছক্কায় সাজানো। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে যৌথভাবে দ্রুততম টেস্ট সেঞ্চুরির মালিক তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার।
২০১০ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৪ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন তামিম। সৌম্য সরকার সমপরিমাণ বলে কীর্তিটি অর্জন করেছেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, হ্যামিল্টনে। বাংলাদেশি দ্রুততম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ানের তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। ২০১৩-১৪ মৌসুমে চট্টগ্রামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৮ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন তিনি। চতুর্থস্থানের রেকর্ডটাও তামিমের।
বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক ২০১০ সালে ম্যানচেস্টারের ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০০ বলে শতক পূরণ করেন। বলের নিরিখে বিশ্ব র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের এই চার ক্রিকেটারের সেঞ্চুরি হাঁকানোর রেকর্ডটা অবশ্য বেশ পেছনের। দ্রুততম টেস্ট শতকের মালিক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম।
সাবেক কিউই হার্ডহিটার ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ৫৪ বলে সেঞ্চুরি মারেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রিচার্ডসের রেকর্ডটা ৫৬ বলের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্রুততম শতকটি হাঁকিয়েছিলেন তিনি। তৃতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক।
২০০৬ সালে ৫৭ বলে শতক হাঁকানোর কীর্তি দেখিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট।