শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন

অবশেষে বাবার বাড়ি ফিরলেন সেই তরুণী

  • প্রকাশের সময় : ২০/১০/২০২১ ০৫:৪৪:৩৯
এই শীতে ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের
Share
3

পটুয়াখালীতে এক তরুণীর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে বিয়ে করার অভিযোগে কলেজছাত্রের মামলার পর বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন ওই তরুণী। মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে একই উপজেলার কাকড়াবুনিয়ার গাজীপুরা গ্রামে তার বাবার বাড়িতে ফিরে যান তিনি। ১৫ অক্টোবর ওই তরুণী মির্জাগঞ্জ উপজেলার মির্জাগঞ্জ গ্রামের কলেজছাত্রকে স্বামী দাবি করে তার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।

এদিকে, তরুণীর পক্ষ থেকে ওই কলেজছাত্রসহ তিনজনকে আসামি করে গত ১২ অক্টোবর পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।

তরুণীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জানান, দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কের জেরেই তাদের দু’জনের বিয়ে হয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর কলেজছাত্র নানান অজুহাতে তরুণীর পরিবারের কাছে যৌতুক দাবি করেন। এ ঘটনায় পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আমিরুল ইসলাম মামলাটি গ্রহণ করে আসামিদের আগামী ৬ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

অপহরণ করে জোরপূর্বক বিয়ে করায় তরুণীর বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে জানাতে চাইলে আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় তাদের বিয়ে হয়। তবে ওই একই দিন পটুয়াখালী থেকে কলেজছাত্রকে অপহরণ করে বিয়ে করা হয়েছে অভিযোগ এনে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। একই মানুষ একই দিনে দুই স্থানে কীভাবে অবস্থান করে। এ বিষয়ে আমার মক্কেল আইনিভাবে মোকাবিলা করবেন।

কলেজছাত্রের মামলার অভিযোগ

মামলায় একজন তরুণীকে প্রধান আসামি এবং অজ্ঞাতনামা আরো ছয়-সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। পটুয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩ অক্টোবর দায়ের করা ওই মামলায় বলা হয়েছে, পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ওই ছাত্রকে তরুণী অনেক দিন ধরে ফোনে এবং সামাজিক মাধ্যমে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। তাতে ছাত্রটি রাজি না হওয়ায় চোখ বেঁধে তাকে অপহরণ করা হয়। এরপর অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে সাত-আটজন ব্যক্তি বলপূর্বক একটি নীল কাগজে স্বাক্ষর করতে তাকে বাধ্য করেন। এ নিয়ে একটি কাবিননামা তৈরির পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলে তারা সন্দেহ করছেন।

কলেজছাত্রের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘আমার মক্কেলকে যে জোর করে বিয়ে করা হয়েছে, সেটা ভিডিও দেখলেই প্রমাণ হয়ে যায়। সেখানেই বোঝা যাচ্ছে, এই বিয়েতে আমার মক্কেল রাজি নন। তাকে জোর করে ভয়ভীতি দেখিয়ে কাগজে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে।

ভাইরাল ভিডিওতে যা দেখা গেছে

এ ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভিডিওটি সেই সময়ের বলে নিশ্চিত করেছেন তরুণী। এই ভিডিওর একটি কপিও আদালতে মামলার সঙ্গে জমা দেওয়া হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একজন তরুণী একটি নীল কাগজের বইতে স্বাক্ষর করছেন। পাশেই তরুণ ছাত্রটি বসে রয়েছেন। পেছনে একজন দাঁড়িয়ে তার ঘাড় চেপে তাকে সোজা তাকিয়ে থাকতে বাধ্য করছে। সেখানে আরো কয়েকজনের উপস্থিতি দেখা যায়।

স্বাক্ষর করার পর একজন লাল শার্ট পরিহিত ব্যক্তি প্রথমে মেয়েটিকে মিষ্টি খাইয়ে দেন। এরপর তরুণের মুখে জোর করে মিষ্টি দেওয়া হলে তিনি সেটা ফেলে দেন। তখন তাকে সেই ফেলে দেওয়া মিষ্টি উঠিয়ে খাওয়ার জন্য ধমক দেন লাল শার্ট পরা ব্যক্তি।


সিলেট প্রতিদিন / এমএনআই


Local Ad Space
কমেন্ট বক্স
© All rights reserved © সিলেট প্রতিদিন ২৪
পোর্টাল বাস্তবায়নে : বিডি আইটি ফ্যাক্টরি