এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অন্যরকম পদ্ধতি অবলম্বনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ। দলীয় কোন্দল ও বিদ্রোহী প্রার্থী ঠেকাতে এবং সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি ধরে রাখতে তারা যেমন কঠোর অবস্থানে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তেমনি প্রার্থী বাছাই পক্রিয়াকে শতভাগ গণতান্ত্রিকভাবেই সম্পন্ন করতে উদ্যোগী বলে জানিয়েছে দলটির নির্ভরযোগ্য সূত্র।
বাংলাদেশে যেকোন পর্যায়ের নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন নিয়ে নানা ঝুটঝামেলা লেগেই থাকে। আর তাই বিদ্রোহী প্রার্থীও দেখা যায় প্রচুর। এসব বিদ্রোহী প্রার্থীর কারণে দলীয় প্রার্থীদের ভরাডুবির ঘটনাও ঘটে নিয়মিত। অন্যান্য দলের পাশাপাশি সরকারি দল আওয়ামী লীগে এমন প্রবনতা আরও কয়েকগুণ বেশি আগামাী নভেম্বর-ডিসেম্বরে সারাদেশের ইউনিয়নগুলোর নির্বাচন অনুষ্টিত হবে কয়েক ধাপে। এখন এই নির্বাচনে প্রার্থীতা নিয়ে চলছে জোর তৎপরতা। সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের কাজ শুরু করেছেন। লবিং গ্রুপিংয়ের মাধ্যমে তারা নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিচ্ছেন ভোটার এবং দলীয় নেতৃবৃন্দের কাছে।
তবে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের নির্ভরযোগ্য সূত্রের সাথে আলাকালে জানা গেছে, এবার আর এসব লবিং বা গ্রুপিংয়ে কাজ হবেনা। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তারা শতভাগ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এগুবেন।
কি সেই গনতান্ত্রিক পদ্ধতি? ব্যাখ্যা জানতে চাইলে জানা গেল, এবার প্রার্থী বাছাই হবে তৃণমূলের ভোটে এবং সেই ভোটও হবে গোপন ব্যলটে। তারপর সেটি যাবে কেন্দ্রে। কেন্দ্র থেকে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হবে ভোটের হিসাবে। আর এক্ষেত্রে ভোটার হবেন প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি এবং সেক্রেটারিবৃন্দ।
তাছাড়া এবার ঢালাওভাবে যেকোন দলীয় মনোনয়নপত্র কিনতে পারবেন না। কেন্দ্র থেকে বাছাইকৃত প্রার্থীই কেবল ঢাকা থেকেই মনোনয়নপত্র কিনবেন বলে জানালেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক জগলু চৌধুরী।
তিনি উল্লেখিত তথ্যগুলো নিশ্চিত করে বলেন, এবার প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে আমরা খুব কঠোর ভূমিকায় থাকব। তবে যাতে যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত না হন সে ব্যাপারে সচেতনতার সাথে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।